কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত। তিনি মূলত পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন, কড়া সামরিক শাসন এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য বিখ্যাত। কিম জং উন ২০১১ সালে তার বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। তার নেতৃত্বে, উত্তর কোরিয়া কয়েকটি সফল পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করেছে, যা দেশটিকে একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি নিজেকে উত্তর কোরিয়ার ‘সুপ্রিম লিডার’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং তার কঠোর শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্ত্বেও, দেশটি নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, কিম জং উন তার বিশেষ বৈঠকের জন্যও বিখ্যাত, যেমন ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে বৈঠক।

উত্তর কোরিয়ার সরকার প্রধান কে?

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার সরকার প্রধান হলেন কিম জং উন। তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক পদে অধিষ্ঠিত। উত্তর কোরিয়ায় “প্রেসিডেন্ট” নামে কোনো পদ নেই, তবে কিম জং উনকে দেশটির ‘সুপ্রিম লিডার’ (Supreme Leader) হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, তিনি কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বাধিনায়ক। তার শাসন ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রিভূত এবং তিনি দেশটির সকল প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন কে কি বলে?

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার জনগণের মধ্যে কিম জং উনকে “সুপ্রিম লিডার” (Supreme Leader) বলা হয়। এছাড়াও তাকে “প্রিয় নেতা” (Dear Leader), “সম্মানিত কমরেড” (Respected Comrade) ইত্যাদি শ্রদ্ধাসূচক পদবীতে অভিহিত করা হয়। কিম পরিবারের শাসন কিম ইল সাং-এর সময় থেকে চলে আসছে, আর কিম জং উনও সেই বংশের তৃতীয় প্রজন্মের নেতা হিসেবে ক্ষমতায় আছেন। রাষ্ট্রীয় প্রচারণায় তাকে বীরত্বপূর্ণ এবং জনগণের নেতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার রাজার নাম কি? কিম জং উন কোন ধর্মের?

উত্তর কোরিয়ায় “রাজা” বলে কোনো পদবি নেই। দেশটির শাসক কিম জং উনকে “সুপ্রিম লিডার” বা সর্বোচ্চ নেতা বলা হয়। কিম জং উনের ব্যক্তিগত ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে নাস্তিক দেশ হিসেবে পরিচিত এবং দেশটিতে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা অত্যন্ত সীমিত। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় আদর্শ হচ্ছে জুচে (Juche) মতবাদ, যা আত্মনির্ভরতা এবং কিম পরিবারের প্রতি আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা
কিম জং উনের বোন- কিম ইয়ো জং

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোনের নাম কিম ইয়ো জং। তিনি উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং কিম জং উনের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। কিম ইয়ো জং মূলত প্রোপাগান্ডা এবং প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছাড়াও, তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশীদারিত্ব করেন। তাকে কিম জং উনের পর সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবেও দেখা হয়।

কিম জং উন কোন দেশের প্রেসিডেন্ট?

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। যদিও উত্তর কোরিয়ায় “প্রেসিডেন্ট” পদটি নেই, কিম জং উনকে দেশটির নেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। উত্তর কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে, কিম ইল সাং, যিনি কিম জং উনের দাদা, তাকে আজীবন “ইটার্নাল প্রেসিডেন্ট” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই উত্তর কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদ আনুষ্ঠানিকভাবে নেই, তবে কিম জং উনই দেশের প্রধান এবং শাসক।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের জীবনী

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং কিম জং উনের জন্ম ১৯৮৪ সালের ৮ জানুয়ারি। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-এর নাতি এবং কিম জং ইলের ছেলে। শৈশবে কিম জং উন সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেন বলে ধারণা করা হয়, যদিও তার শৈশব সম্পর্কে অনেক কিছুই গোপন রাখা হয়েছে। ২০১১ সালে তার বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর তিনি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন। তার শাসনকালে, তিনি দেশের পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়ন এবং সামরিক শক্তির বিস্তারের দিকে মনোযোগ দেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিম জং উন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার আলোচনা ও বৈঠকের জন্যও বিখ্যাত।

কিং জন উন (King Jong Un)

“কিং জন উন” নামে কোনো ব্যক্তি নেই। এটি সম্ভবত ভুলভাবে লেখা বা উচ্চারণ করা হয়েছে। সঠিক নাম হলো কিম জং উনকিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক এবং নেতা হিসেবে পরিচিত। উত্তর কোরিয়ায় “রাজা” বলে কোনো পদ নেই, তবে কিম জং উনকে “সুপ্রিম লিডার” বা সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

উত্তর কোরিয়ার ধর্ম

উত্তর কোরিয়ায় ধর্মীয় স্বাধীনতা সীমিত এবং রাষ্ট্রের দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। দেশের প্রধান আদর্শ জুচে (Juche) মতবাদ, যা আত্মনির্ভরতা ও শাসক পরিবারের প্রতি আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যদিও খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও চোন্দোবাদ কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী রয়েছে, তারা সরকারি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে এবং প্রকৃতপক্ষে দেশটিতে কোনো ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নেই। উত্তর কোরিয়ার সরকার নিজেদের নাস্তিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করে।

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম কি?

উত্তর কোরিয়ায় “প্রেসিডেন্ট” নামে কোনো পদ নেই। কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-কে আজীবনের জন্য “ইটার্নাল প্রেসিডেন্ট” ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে, কিম জং উন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা এবং শাসক। তিনি কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

আরও পড়ুন :

ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *