লামিন ইয়ামাল : লা লিগা, বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের কনিষ্ঠ তারকা

লামিন ইয়ামাল : লা লিগা, বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের কনিষ্ঠ তারকা

লামিন ইয়ামাল পরিচিতি লামিন ইয়ামাল  হলেন একজন স্প্যানিশ পেশাদার ফুটবলার যিনি লা লিগা ক্লাব বার্সেলোনা এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ডান উইঙ্গার হিসেবে খেলেন জন্ম: 13 জুলাই, 2007 (বয়স 17 বছর), স্পেনের এসপ্লুগেস ডি লব্রেগাট পৌরসভা বর্তমান দল: FC বার্সেলোনা ( ফরোয়ার্ড), স্পেন জাতীয় ফুটবল দল (19 / ফরোয়ার্ড) যোগদানের তারিখ: 2023 (FC Barcelona Atlètic, FC Barcelona) উচ্চতা: 1.8 মি জাতীয়তা: নিরক্ষীয় গিনি, মরক্কো, স্প্যানিশ তার অসাধারণ প্রতিভা এবং সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, লিওনেল মেসি ১৮ বছর বয়সে বার্সেলোনার প্রথম দলে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে, মেসির মতোই বার্সেলোনা একাডেমি থেকে উঠে আসা আনসু ফাতি ১৬ বছর বয়সেই অভিষেক করেছিলেন। কিন্তু লামিন ইয়ামালের ক্ষেত্রে বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষাও করেননি। গত রাতে, ২০০৭ সালে জন্ম নেওয়া এই কিশোরকে লা লিগায় রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে খেলানোর সুযোগ দেন। ৮৩তম মিনিটে পাবলো গাভির বদলি হিসেবে মাঠে নামার সময় ইয়ামালের বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর ২৯০ দিন। ইএসপিএন-এর মতে, ইয়ামাল বার্সেলোনার ইতিহাসে শীর্ষ লিগে খেলা সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড়। তিনি লা লিগায় ১৬ বছর হওয়ার আগে অভিষেক হওয়া পঞ্চম খেলোয়াড়। লামিন ইয়ামালের পেশাদার ক্লাব  লামিন ইয়ামাল লা লিগা, বার্সেলোনা এবং স্পেন জাতীয় দলের কনিষ্ঠ খেলোয়াড় লামিন ইয়ামাল নাসরাউই ইবান (জন্ম ১৩ জুলাই ২০০৭) একজন স্প্যানিশ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি লা লিগা ক্লাব বার্সেলোনা এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ডানপাশের উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। তাঁর গতি, ড্রিবলিং, পাসিং, ক্রসিং এবং শক্তিশালী দূরপাল্লার শট নেয়ার দক্ষতার জন্য পরিচিত, এবং তাকে বিশ্বজুড়ে অন্যতম সেরা তরুণ ফুটবলার হিসেবে গণ্য করা হয়। লামিন ইয়ামাল বার্সেলোনার যুব অ্যাকাডেমি, লা মাসিয়া, থেকে উঠে এসেছেন এবং ২০২৩ সালের আগস্টে ১৬ বছর বয়সে প্রতিযোগিতামূলক অভিষেক করেন। ২০২৪ সালে তিনি বিশ্বের সেরা ২১ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে কোপা ট্রফি পান। তিনি স্পেনের বিভিন্ন যুব স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং ২০২৩ সালে জাতীয় দলে অভিষেক করেন, যেখানে ১৬ বছর বয়সে স্পেনের হয়ে খেলেছেন এবং গোল করেছেন। তিনি ইউরো ২০২৪-এ স্পেনের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দলকে তাদের চতুর্থ ইউরো শিরোপা জিততে সহায়তা করেন। এ টুর্নামেন্টে তিনি সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। লামিন ইয়ামালের প্রারম্ভিক জীবন লামিন ইয়ামাল ১৩ জুলাই ২০০৭ সালে কাতালোনিয়ার বার্সেলোনার উপকণ্ঠে এস্পলুগুয়েস দে ল্লোব্রেগাতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা শেইলা ইবানার জন্ম ইকুয়েটোরিয়াল গিনির বাতায়, এবং তাঁর বাবা মুনির নাসরাউই মরক্কোর লারাশে থেকে এসেছেন। যখন ইয়ামালের বয়স তিন বছর, তখন তার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান, কিন্তু দুজনই তার শৈশবকালে উপস্থিত ছিলেন। ইয়ামাল চার বছর বয়সে গ্রানোলার্সের স্থানীয় ক্লাব লা তোরেতায় ফুটবল খেলা শুরু করেন। ২০১৪ সালে ছয় বছর বয়সে, তাকে বার্সেলোনা দলে যোগদানের জন্য নির্বাচিত করা হয় এবং তিনি লা মাসিয়াতে যোগ দেন। ক্লাব ক্যারিয়ার বার্সেলোনা লামিন ইয়ামাল বার্সেলোনার যুব পর্যায়ে একসময় সেরা প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেক ঘটে, যেখানে তিনি রিয়াল বেতিসের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের জয়ে মাঠে নামেন এবং লা লিগার ইতিহাসে পঞ্চম কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হন। বার্সার ৪ গোলের জয়ে ১৫ বছর বয়সী লামিন  ইয়ামালে নতুন ইতিহাস ড্রিবলিং, পাসিং এবং গোল করার দক্ষতার কারণে অল্প বয়সেই বার্সেলোনা কোচদের নজর কেড়েছিলেন ইয়ামাল। মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পান তিনি। ২০২২ সালের মধ্যেই তাকে স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলানো হয়েছে। লামিন ইয়ামালের জন্য ২ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল বার্সা বার্সেলোনা ২ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার বিশাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ইয়ামালের জন্য। সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের কোপা ট্রফি কে জিতবেন, তা নিয়ে খুব বেশি সংশয় ছিল না। অনেকেই মনে করেছিলেন লামিন ইয়ামালকে প্রধান লড়াইয়েও দেখা যেতে পারে। গত মৌসুমে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সই এই রোমাঞ্চ তৈরি করেছিল, যা তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দেয়। ২০২৩-২৪ মৌসুমে, তিনি প্রথম একাদশে নিজের জায়গা পাকা করেন এবং ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে তাকে সেরা অনূর্ধ্ব-২৩ খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার লামিন ইয়ামাল স্পেনের হয়ে ২০২৩ সালে প্রথম জাতীয় দলে অভিষেক করেন এবং তিনি স্পেনের হয়ে সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় ও গোলদাতা হন। ইউরো ২০২৪-এ, তিনি অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন এবং স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন করতে সহায়তা করেন। আরও পড়ুন : কিলিয়ান এমবাপ্পে : ফুটবল গতির দানব-২০২৪

Read More
কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা

কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত। তিনি মূলত পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন, কড়া সামরিক শাসন এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য বিখ্যাত। কিম জং উন ২০১১ সালে তার বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। তার নেতৃত্বে, উত্তর কোরিয়া কয়েকটি সফল পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করেছে, যা দেশটিকে একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি নিজেকে উত্তর কোরিয়ার ‘সুপ্রিম লিডার’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং তার কঠোর শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্ত্বেও, দেশটি নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, কিম জং উন তার বিশেষ বৈঠকের জন্যও বিখ্যাত, যেমন ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে বৈঠক। উত্তর কোরিয়ার সরকার প্রধান কে? কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার সরকার প্রধান হলেন কিম জং উন। তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক পদে অধিষ্ঠিত। উত্তর কোরিয়ায় “প্রেসিডেন্ট” নামে কোনো পদ নেই, তবে কিম জং উনকে দেশটির ‘সুপ্রিম লিডার’ (Supreme Leader) হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, তিনি কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বাধিনায়ক। তার শাসন ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রিভূত এবং তিনি দেশটির সকল প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন কে কি বলে? কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার জনগণের মধ্যে কিম জং উনকে “সুপ্রিম লিডার” (Supreme Leader) বলা হয়। এছাড়াও তাকে “প্রিয় নেতা” (Dear Leader), “সম্মানিত কমরেড” (Respected Comrade) ইত্যাদি শ্রদ্ধাসূচক পদবীতে অভিহিত করা হয়। কিম পরিবারের শাসন কিম ইল সাং-এর সময় থেকে চলে আসছে, আর কিম জং উনও সেই বংশের তৃতীয় প্রজন্মের নেতা হিসেবে ক্ষমতায় আছেন। রাষ্ট্রীয় প্রচারণায় তাকে বীরত্বপূর্ণ এবং জনগণের নেতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার রাজার নাম কি? কিম জং উন কোন ধর্মের? উত্তর কোরিয়ায় “রাজা” বলে কোনো পদবি নেই। দেশটির শাসক কিম জং উনকে “সুপ্রিম লিডার” বা সর্বোচ্চ নেতা বলা হয়। কিম জং উনের ব্যক্তিগত ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে নাস্তিক দেশ হিসেবে পরিচিত এবং দেশটিতে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা অত্যন্ত সীমিত। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় আদর্শ হচ্ছে জুচে (Juche) মতবাদ, যা আত্মনির্ভরতা এবং কিম পরিবারের প্রতি আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোনের নাম কিম ইয়ো জং। তিনি উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং কিম জং উনের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। কিম ইয়ো জং মূলত প্রোপাগান্ডা এবং প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছাড়াও, তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশীদারিত্ব করেন। তাকে কিম জং উনের পর সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবেও দেখা হয়। কিম জং উন কোন দেশের প্রেসিডেন্ট? কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। যদিও উত্তর কোরিয়ায় “প্রেসিডেন্ট” পদটি নেই, কিম জং উনকে দেশটির নেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। উত্তর কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে, কিম ইল সাং, যিনি কিম জং উনের দাদা, তাকে আজীবন “ইটার্নাল প্রেসিডেন্ট” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই উত্তর কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদ আনুষ্ঠানিকভাবে নেই, তবে কিম জং উনই দেশের প্রধান এবং শাসক। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের জীবনী কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং কিম জং উনের জন্ম ১৯৮৪ সালের ৮ জানুয়ারি। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-এর নাতি এবং কিম জং ইলের ছেলে। শৈশবে কিম জং উন সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেন বলে ধারণা করা হয়, যদিও তার শৈশব সম্পর্কে অনেক কিছুই গোপন রাখা হয়েছে। ২০১১ সালে তার বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর তিনি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন। তার শাসনকালে, তিনি দেশের পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়ন এবং সামরিক শক্তির বিস্তারের দিকে মনোযোগ দেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিম জং উন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার আলোচনা ও বৈঠকের জন্যও বিখ্যাত। কিং জন উন (King Jong Un) “কিং জন উন” নামে কোনো ব্যক্তি নেই। এটি সম্ভবত ভুলভাবে লেখা বা উচ্চারণ করা হয়েছে। সঠিক নাম হলো কিম জং উন। কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং তিনি উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক এবং নেতা হিসেবে পরিচিত। উত্তর কোরিয়ায় “রাজা” বলে কোনো পদ নেই, তবে কিম জং উনকে “সুপ্রিম লিডার” বা সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে অভিহিত করা হয়। উত্তর কোরিয়ার ধর্ম উত্তর কোরিয়ায় ধর্মীয় স্বাধীনতা সীমিত এবং রাষ্ট্রের দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। দেশের প্রধান আদর্শ জুচে (Juche) মতবাদ, যা আত্মনির্ভরতা ও শাসক পরিবারের প্রতি আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যদিও খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও চোন্দোবাদ কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী রয়েছে, তারা সরকারি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে এবং প্রকৃতপক্ষে দেশটিতে কোনো ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নেই। উত্তর কোরিয়ার সরকার নিজেদের নাস্তিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করে। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম কি? উত্তর কোরিয়ায় “প্রেসিডেন্ট” নামে কোনো পদ নেই। কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-কে আজীবনের জন্য “ইটার্নাল প্রেসিডেন্ট” ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে, কিম জং উন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা এবং শাসক। তিনি কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।   আরও পড়ুন : ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী  

Read More
বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 সম্পর্কে ৫টি আকর্ষণীয় তথ্য

বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 সম্পর্কে ৫টি আকর্ষণীয় তথ্য

বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 – কেন আরও উত্তেজনাপূর্ণ ও বৈচিত্র্যময়   ম্যাগনাস কার্লসেনের প্রত্যাবর্তন: ২০২৩ সালে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 সালের আসরে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন প্রতিযোগিতায় ফিরে আসার কথা ভাবছেন। তার প্রত্যাবর্তন দাবা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নতুন ফরম্যাট: FIDE বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 -এর ফরম্যাটে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ম্যাচের সংখ্যা ও সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে যাতে প্রতিযোগিতাটি আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হয়। এতে খেলোয়াড়দের কৌশল ও মনোসংযোগের পরীক্ষা হবে। ইঞ্জিনের প্রভাব: আধুনিক কম্পিউটার ও দাবা ইঞ্জিনের উন্নতিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নশিপগুলোতে খেলোয়াড়রা আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত থাকেন। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024,  চ্যাম্পিয়নশিপে খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ পর্যায়ের কম্পিউটার বিশ্লেষণ ব্যবহার করে কৌশল সাজাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী সম্প্রচার: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 সালের চ্যাম্পিয়নশিপকে বিশ্বের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের দাবা প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোকপাত নারীদের দাবায়: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 সালের আসরে FIDE নারীদের দাবা প্রতিযোগিতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের প্রতিভার স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, যা নারী দাবা খেলোয়াড়দের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা দেয়। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 : FIDE বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাস FIDE বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ (FIDE World Chess Championship) দাবা খেলায় সর্বোচ্চ স্তরের প্রতিযোগিতা, যা বিশ্বের সেরা দাবা খেলোয়াড়কে নির্ধারণ করে। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ  শুরু থেকেই এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ শিরোপা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আসুন, FIDE বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানি: ১. প্রারম্ভিক ইতিহাস প্রথম বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮৬ সালে, যখন ভিলহেম স্টেইনিটজ এবং জোহানেস জুকার্টর্ট একে অপরের মুখোমুখি হন। স্টেইনিটজ প্রথম আনুষ্ঠানিক বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান। পরবর্তী কয়েক দশকে, দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ব্যক্তিগত ম্যাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হতো এবং শিরোপা রক্ষার দায়িত্ব থাকত চ্যাম্পিয়নের হাতে। ২. FIDE এর উত্থান ১৯২৪ সালে দাবার আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা FIDE (Fédération Internationale des Échecs) প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে, ১৯৪৮ সাল থেকে FIDE আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ পরিচালনা করতে শুরু করে। এটি ঘটেছিল সোভিয়েত গ্র্যান্ডমাস্টার আলেকজান্ডার আলেখিনের মৃত্যুর পর। FIDE প্রথম আনুষ্ঠানিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করে, যেখানে মিখাইল বটভিনিক চ্যাম্পিয়ন হন। এর মাধ্যমে আধুনিক দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন যুগ শুরু হয়। ৩. সোভিয়েত আধিপত্য FIDE-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৫০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে সোভিয়েত খেলোয়াড়দের ব্যাপক আধিপত্য দেখা যায়। বটভিনিক, ভাসিলি স্মাইসলভ, মিখাইল তাল, টিগর পেত্রোসিয়ান, এবং বরিস স্পাসকি-এর মতো খেলোয়াড়রা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন। এই সময়কালে, দাবা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সোভিয়েত শক্তিমত্তার প্রতীক হয়ে ওঠে। ৪. ববি ফিশার যুগ ১৯৭২ সালে মার্কিন দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার ববি ফিশার বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন, যা দাবার ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক ঘটনা। তিনি বরিস স্পাসকি-কে পরাজিত করে সোভিয়েত আধিপত্যের অবসান ঘটান। ফিশারের এই বিজয় পশ্চিমের দাবার অগ্রগতির প্রতীক হয়ে ওঠে। যদিও পরবর্তীতে ব্যক্তিগত কারণে ফিশার দাবার জগৎ থেকে সরে দাঁড়ান, তার অবদান দাবার জনপ্রিয়তায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ৫. কারপভ-কাসপারভ দ্বৈরথ ফিশারের সরে দাঁড়ানোর পর, সোভিয়েত গ্র্যান্ডমাস্টার আনাতোলি কারপভ ১৯৭৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৮০-এর দশকে গ্যারী কাসপারভ-এর উত্থান ঘটে এবং কারপভের সাথে তার দীর্ঘ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। কাসপারভ ১৯৮৫ সালে কারপভকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন এবং পরবর্তী কয়েক বছর ধরে চ্যাম্পিয়নের আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই যুগকে দাবার স্বর্ণযুগ বলা হয়, কারণ কারপভ-কাসপারভ ম্যাচগুলো বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোচিত ছিল। ৬. ক্যাসপারভ বনাম FIDE বিভাজন ১৯৯৩ সালে গ্যারী কাসপারভ এবং FIDE-এর মধ্যে মতবিরোধের কারণে কাসপারভ FIDE থেকে আলাদা হয়ে নতুন একটি দাবা সংস্থা গঠন করেন এবং FIDE-এর প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন। এই সময় থেকে দাবা বিশ্বে দুটি পৃথক শিরোপা চলতে থাকে—একটি FIDE-এর অধীনে, আরেকটি কাসপারভের সংগঠন PCA-এর অধীনে। ৭. FIDE এবং PCA-এর পুনর্মিলন ২০০৬ সালে FIDE এবং PCA-এর মধ্যে বিভাজন শেষ হয়, যখন FIDE পুনরায় একীভূত চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে। ভ্লাদিমির ক্রামনিক ঐক্যবদ্ধ শিরোপা জেতেন এবং এর মাধ্যমে দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ পুনরায় একক শিরোপার অধীনে ফিরে আসে। ৮. ম্যাগনাস কার্লসেনের আধিপত্য ২০১৩ সালে নরওয়েজিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন। তার স্টাইল, কৌশল, এবং খেলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি দাবার জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কার্লসেন ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিরোপা ধরে রেখেছেন এবং দাবার আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হন। FIDE বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের এই দীর্ঘ ইতিহাস দাবা খেলায় প্রতিযোগিতার গভীরতা এবং কৌশলগত উৎকর্ষতার প্রতীক। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 আয়োজক এবং পুরস্কারের অর্থ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ ; রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড সেন্টোসা, সিঙ্গাপুর ; ২৫ নভেম্বর – ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪  ১. আয়োজক সংস্থা (Organizer) FIDE (Fédération Internationale des Échecs), যেটি আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন নামে পরিচিত, বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে থাকে। FIDE দাবা খেলার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, যার প্রধান কাজ হলো দাবা প্রতিযোগিতাগুলোর নিয়মাবলী নির্ধারণ করা, প্রতিযোগিতা আয়োজন করা এবং বিশ্বব্যাপী দাবার প্রসার ঘটানো। FIDE ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তখন থেকে এটি বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধান করে আসছে। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪  আয়োজন করে থাকে FIDE (Fédération Internationale des Échecs) ২. পুরস্কারের অর্থ (Prize Money) বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কারের অর্থ প্রতিযোগিতার স্পনসরশিপ, স্থানীয় আয়োজক কমিটি এবং FIDE-এর বাজেটের ওপর নির্ভর করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুরস্কারের অর্থ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কারের মোট অর্থ ছিল প্রায় ২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। পুরস্কারের অর্থ দুই প্রতিযোগীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়: চ্যাম্পিয়ন সাধারণত মোট পুরস্কারের ৬০% পান। রানার আপ পান বাকি ৪০%। যদি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ড্র হয় এবং টাইব্রেকার ম্যাচের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করতে হয়, তাহলে চ্যাম্পিয়ন ৫৫% এবং রানার আপ ৪৫% পুরস্কারের অর্থ পান। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ 2024,   জন্যও পুরস্কারের অর্থ এই ধরণের হতে পারে, তবে FIDE-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুযায়ী এর সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। এই বড় পুরস্কারের অর্থ ও মর্যাদার কারণে FIDE বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ সবসময়ই অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় একটি প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হয়।   আরও পড়ুন : আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল এবং বর্তমান আর্জেন্টিনা একাদশ ২০২৪  

Read More
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল এবং বর্তমান আর্জেন্টিনা একাদশ ২০২৪ আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সেরা গোলরক্ষক

আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল এবং বর্তমান আর্জেন্টিনা একাদশ ২০২৪

আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল পরিচিতি আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল হলো বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম গৌরবময় ও সফল দল। দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী দলটি (১৯৭৮ ও ১৯৮৬) এবং একবারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন (২০২১) হিসেবে আর্জেন্টিনার নাম ফুটবল ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা আছে। এই দলের খেলার নান্দনিকতা, তারকা ফুটবলারদের প্রতিভা, এবং ইতিহাসের বহু স্মরণীয় মুহূর্ত আর্জেন্টিনাকে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন দিয়েছে। ২০২৪ সালে, আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল আবারও বিশ্ব ফুটবলে নিজেকে প্রমাণ করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দলে বিশ্বকাপজয়ী এবং তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল রয়েছে। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পর থেকে দলটির আত্মবিশ্বাস চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, এবং তারা সামনের প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য প্রস্তুত। আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের  সাম্প্রতিক সাফল্য আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল  ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফুটবলের মহানায়ক লিওনেল মেসি, যিনি তার অসাধারণ দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে তুলেছিলেন। ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করবে এবং আবারও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে। বর্তমান আর্জেন্টিনা একাদশ (২০২৪) আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান একাদশটি অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার দারুণ মিশ্রণ। কোচ লিওনেল স্কালোনি-র অধীনে দলটি একটি শক্তিশালী ইউনিট হিসেবে গড়ে উঠেছে। চলুন ২০২৪ সালের সম্ভাব্য আর্জেন্টিনা একাদশের দিকে নজর দেই: আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সেরা গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা) – বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক তার অসাধারণ রিফ্লেক্স ও পেনাল্টি বাঁচানোর দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মলিনা (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ) – রাইট ব্যাক পজিশনে মলিনা তার গতি এবং ডিফেন্সিভ দক্ষতার জন্য পরিচিত। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার) – দলের প্রধান ডিফেন্ডার, রোমেরো তার শক্তিশালী ডিফেন্স এবং আক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিকোলাস ওটামেন্ডি (বেনফিকা) – অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার দলের অন্যতম স্তম্ভ, যার অভিজ্ঞতা ডিফেন্সকে আরও শক্তিশালী করে। নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিওন) – লেফট ব্যাক হিসেবে তাগলিয়াফিকো তার ডিফেন্স এবং আক্রমণে সহায়তার জন্য প্রশংসিত। আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সেরা মিডফিল্ডার: রদ্রিগো ডি পল (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ) – এই মিডফিল্ডার তার পাসিং এবং ডিফেন্সিভ ভূমিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি) – তরুণ এই মিডফিল্ডার আর্জেন্টিনার মাঝমাঠে নতুন প্রজন্মের প্রতিভা হিসেবে পরিচিত। আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (লিভারপুল) – আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে ম্যাক অ্যালিস্টারের ভূমিকা দলের আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করে। ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি) – মেসি দলের মূল তারকা এবং আক্রমণের প্রাণ। তার স্কিল, গোল করার ক্ষমতা এবং খেলার নিয়ন্ত্রণ তাকে বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে প্রমাণ করেছে। লাউতারো মার্তিনেজ (ইন্টার মিলান) – স্ট্রাইকার হিসেবে মার্তিনেজ দলের অন্যতম গোল স্কোরার এবং তার ফিনিশিং দক্ষতা অসাধারণ। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (বেনফিকা) – ডি মারিয়া একজন অভিজ্ঞ উইঙ্গার, যিনি দলকে আক্রমণে ক্রিয়েটিভ সহায়তা প্রদান করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার ভূমিকা অত্যন্ত মূল্যবান। আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের  ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলটি কোপা আমেরিকায় নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার জন্য খেলবে এবং ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিবে। দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পাশাপাশি তরুণ প্রতিভাবানদের মিলিত প্রয়াসে আর্জেন্টিনা আবারও ফুটবল জগতের শীর্ষে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে তিনি আর্জেন্টিনাকে আরও একটি সাফল্য এনে দিতে পারেন কিনা, তা দেখার জন্য ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষায় রয়েছেন। আর্জেন্টিনার ফুটবল দল তাদের প্রতিভা, ইতিহাস এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি দিয়ে ফুটবল বিশ্বকে প্রভাবিত করতে আগ্রহী এবং প্রস্তুত। এইভাবে, আর্জেন্টিনার বর্তমান দল এবং একাদশ ২০২৪ সালে নতুন সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সেরা ১০ জন কোচের তালিকা : আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত ও সফল কোচ ছিলেন, যারা দলের গৌরবময় ইতিহাস গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নিচে আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সেরা ১০ জন কোচের তালিকা দেওয়া হলো:   ১. লিওনেল স্কালোনি (Lionel Scaloni) সময়কাল: ২০১৮–বর্তমান লিওনেল স্কালোনি আর্জেন্টিনার অন্যতম সফল কোচ। তার অধীনে আর্জেন্টিনা ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে। স্কালোনির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপার খরা কাটায় এবং তাকে দলের ইতিহাসে অন্যতম সফল কোচ হিসেবে ধরা হয়। ২. সিজার লুইস মেনোত্তি (César Luis Menotti) সময়কাল: ১৯৭৪–১৯৮২ মেনোত্তি আর্জেন্টিনার কোচ ছিলেন যখন দল ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ ঘরে তোলে। তার আক্রমণাত্মক খেলার ধারা এবং দক্ষ কৌশলের জন্য তাকে আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা কোচ হিসেবে মনে করা হয়। তার সময়ে আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে। ৩. কার্লোস বিলার্দো (Carlos Bilardo) সময়কাল: ১৯৮৩–১৯৯০ বিলার্দোর অধীনে আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয় করে এবং ১৯৯০ সালে রানার্স-আপ হয়। তিনি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নেতৃত্বে এনে দলকে বিশ্বজয়ের পথে পরিচালিত করেছিলেন। তার ডিফেন্সিভ কৌশল এবং ট্যাকটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট তাকে লিজেন্ডারি কোচ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ৪. আলফিও বাসিলে (Alfio Basile) সময়কাল: ১৯৯১–১৯৯৪, ২০০৬–২০০৮ আলফিও বাসিলে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে দুটি কোপা আমেরিকা শিরোপা (১৯৯১, ১৯৯৩) জিতিয়েছেন। তিনি তার প্রথম মেয়াদে আর্জেন্টিনার ফুটবলে সাফল্যের নতুন ধারা সূচনা করেছিলেন। ৫. মার্সেলো বিয়েলসা (Marcelo Bielsa) সময়কাল: ১৯৯৮–২০০৪ বিয়েলসা তার আক্রমণাত্মক ফুটবল স্টাইল এবং ট্যাকটিক্সের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। ২০০৪ সালে তার অধীনে আর্জেন্টিনা অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয় করে। যদিও তিনি বিশ্বকাপে তেমন সফলতা পাননি, তবুও তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং খেলোয়াড়দের উন্নয়নে তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ। ৬. আলেহান্দ্রো সাবেয়া (Alejandro Sabella) সময়কাল: ২০১১–২০১৪ সাবেয়া আর্জেন্টিনার কোচ ছিলেন যখন দল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছায়। তার কৌশলী পরিকল্পনা এবং লিওনেল মেসির নেতৃত্বের সমন্বয়ে আর্জেন্টিনা ঐ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্মেন্স করে, যদিও ফাইনালে জার্মানির কাছে পরাজিত হয়। ৭. ডিয়েগো ম্যারাডোনা (Diego Maradona) সময়কাল: ২০০৮–২০১০ ডিয়েগো ম্যারাডোনা, আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, ২০০৮ সালে কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার কোচিংয়ে দল ২০১০ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয়, তবে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে পরাজিত হয়। যদিও তার কোচিং ক্যারিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ছিল না, তবুও তার উপস্থিতি ফুটবল জগতে বিশাল প্রভাব ফেলেছিল। ৮. ড্যানিয়েল পাসারেলা (Daniel Passarella) সময়কাল: ১৯৯৪–১৯৯৮ পাসারেলা আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ডিফেন্ডার এবং ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। কোচ হিসেবে, তিনি ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দেন। তার কোচিংয়ে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল। ৯. জেরার্দো মার্টিনো (Gerardo Martino) সময়কাল: ২০১৪–২০১৬ মার্টিনোর অধীনে আর্জেন্টিনা ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছিল, তবে দু’বারই চিলির কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়। যদিও তিনি শিরোপা জিততে ব্যর্থ হন, তার কৌশল দলকে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্সে সাহায্য করেছিল। ১০. হুয়ান হোসে পিজ্জি (Juan José Pizzi) সময়কাল: ২০১৭–২০১৮ পিজ্জি আর্জেন্টিনার জন্য তেমন বড় সাফল্য অর্জন করতে পারেননি, তবে তার নেতৃত্বে দলটি ২০১৮ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। তিনি চিলির জাতীয় দলের কোচিংয়ে সফল ছিলেন এবং পরবর্তীতে আর্জেন্টিনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এই কোচরা আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে নতুন নতুন সাফল্য এনে দিয়েছেন এবং তাদের কৌশল ও নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে বিশ্ব ফুটবলে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।   আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সাফল্য : আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল ইতিহাসে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি জিতেছে। নিচে আর্জেন্টিনার জেতা…

Read More
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল এবং বর্তমান ব্রাজিল একাদশ ২০২৪

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল এবং বর্তমান ব্রাজিল একাদশ ২০২৪

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ২০২৪ , যাকে বিশ্ব ফুটবলে একটি কিংবদন্তি হিসেবে ধরা হয়, তাদের ইতিহাসে অসাধারণ সফলতা ও তারকাখ্যাতি অর্জন করেছে। পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী এই দলটি ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে এক আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সফল দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল খেলার আক্রমণাত্মক ও নান্দনিক স্টাইল ফুটবলপ্রেমীদের কাছে দলটিকে অসাধারণ প্রিয় করে তুলেছে। ২০২৪ সালে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলটি এখনো তাদের গৌরবময় ইতিহাস ও ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত বর্তমান একাদশটি অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে তৈরি। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ২০২৪ এবং  সাম্প্রতিক সাফল্য ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলটি সবসময়ই দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল প্রতিযোগিতায় যেমন কোপা আমেরিকা এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় সফলতা লাভ করেছে। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় তারা ফাইনালে উঠেছিল, যদিও আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হয়েছিল। ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও তারা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল। ২০২৪ সালে তারা আবারও নতুন করে বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ব্রাজিল জাতীয় একাদশ ২০২৪ ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ২০২৪ সালে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের একাদশে কিছু তরুণ প্রতিভা ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমান কোচ ফার্নান্দো দিনিজ দলের নেতৃত্বে আছেন, এবং তার অধীনে ব্রাজিল দলের আক্রমণাত্মক খেলার ধারা বজায় রয়েছে। চলুন দেখি, ২০২৪ সালের সম্ভাব্য ব্রাজিল একাদশ: ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের ২০২৪ গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল) – অ্যালিসন ব্রাজিলের প্রধান গোলরক্ষক এবং তার অসাধারণ রিফ্লেক্স ও গেম রিডিংয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি ব্রাজিলের ডিফেন্সের প্রধান ভরসা। ডিফেন্ডার: মারকুইনহোস (প্যারিস সেন্ট-জার্মেই) – দলের প্রধান ডিফেন্ডার হিসেবে মারকুইনহোসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ) – তার শক্তিশালী শারীরিক ক্ষমতা ও ডিফেন্সিভ স্কিলের জন্য তিনি দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য। ড্যানিলো (জুভেন্টাস) – অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার রাইট ব্যাক পজিশনে খেলেন এবং তার ফুটবল আইকিউ অসাধারণ। গ্যাব্রিয়েল মাগালহাইস (আর্সেনাল) – তিনি দলকে বাড়তি ডিফেন্সিভ স্থিতি প্রদান করেন। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের ২০২৪ মিডফিল্ডার: কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) – ব্রাজিল দলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে কাসেমিরো অনন্য। তার অভিজ্ঞতা ও ফর্মেশনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। ব্রুনো গিমারায়েস (নিউক্যাসল ইউনাইটেড) – তিনি আধুনিক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় অসাধারণ। তার পাসিং ও বল কন্ট্রোল দুর্দান্ত। লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড) – ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার হিসেবে পাকেতার ভূমিকা দলকে আক্রমণে বাড়তি শক্তি দেয়। ফরোয়ার্ড: নেইমার জুনিয়র (আল-হিলাল) – নেইমার দলের সবচেয়ে বড় তারকা এবং আক্রমণের প্রধান শক্তি। তার স্কিল, ড্রিবলিং, এবং গোল করার ক্ষমতা ব্রাজিলকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ) – ভিনিসিয়াস এখন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। তার গতিশীল খেলা এবং গোল করার দক্ষতা তাকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম হটস্পার) – ব্রাজিলের স্ট্রাইকার হিসেবে রিচার্লিসনের ফিনিশিং স্কিল দলকে বড় সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। ব্রাজিল জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ব্রাজিল দলটি ২০২৪ সালে একটি তরুণ ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তরুণ প্রতিভা যেমন রদ্রিগো, আন্তোনি, এবং জোয়াও পেদ্রো দলটিতে ভবিষ্যতের নতুন তারকা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কোচের নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল দ্বারা দলটি একটি সুসংবদ্ধ ইউনিট হিসেবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন যে ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা এবং ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল আবারও বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষে থাকবে। দক্ষ ফুটবল ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের উত্তরাধিকার বহন করে, ব্রাজিল জাতীয় দল আগামী বছরগুলোতেও নতুন ইতিহাস গড়ার জন্য প্রস্তুত। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবলের সেরা ৫টি বিখ্যাত তারকা ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ইতিহাসের পাতায় তাদের সেরা খেলোয়াড়দের মাধ্যমে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী এই দলটি বিশ্ব ফুটবলে যে কিংবদন্তি তারকাদের উপহার দিয়েছে, তাদের মধ্যে বিখ্যাত পাঁচজন  ফুটবলার ১. পেলে (Pelé) পুরো নাম: এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো সময়কাল: ১৯৫৭-১৯৭১ পেলে হলেন ফুটবলের জগতে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার, যিনি তিনটি বিশ্বকাপ (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০) জিতেছেন। তার অসাধারণ গোল করার ক্ষমতা এবং খেলার ধারা তাকে ফুটবলের মহাকাব্যে স্থায়ী আসন দিয়েছে। পেলে তার ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছেন। তার নাম ফুটবল ইতিহাসের সাথে চিরকাল জড়িয়ে থাকবে। ২. গ্যারিঞ্চা (Garrincha) পুরো নাম: মানুয়েল ফ্রান্সিসকো দোস সান্তোস সময়কাল: ১৯৫৫-১৯৬৬ গ্যারিঞ্চা ছিলেন একজন দুর্দান্ত উইঙ্গার, যার ড্রিবলিং দক্ষতা এবং প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার ক্ষমতা অতুলনীয় ছিল। তিনি ১৯৫৮ এবং ১৯৬২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার খেলা দর্শকদের মুগ্ধ করত, এবং তাকে বলা হয় “ফুটবলের আনন্দ”। ৩. জিকো (Zico) পুরো নাম: আর্থুর আন্তুনিস কোইম্ব্রা সময়কাল: ১৯৭৬-১৯৮৬ জিকো, যিনি “হোয়াইট পেলে” নামে পরিচিত, ছিলেন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তার সৃজনশীল খেলা, ফ্রি-কিক এবং গোল করার অসাধারণ ক্ষমতা তাকে কিংবদন্তি করে তুলেছে। যদিও জিকো বিশ্বকাপ জিততে পারেননি, তবুও তিনি ব্রাজিলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃত। ৪. রোনালদো (Ronaldo) পুরো নাম: রোনালদো লুইস নাজারিও দা লিমা সময়কাল: ১৯৯৪-২০১১ রোনালদো, যিনি “ফেনোমেনো” নামে পরিচিত, তার সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে রোনালদো ৮টি গোল করে ব্রাজিলকে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। তিনি ব্রাজিলের হয়ে ৯৮ ম্যাচে ৬২টি গোল করেছেন এবং দুইবার ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছেন। ৫. রোনালদিনিয়ো (Ronaldinho) পুরো নাম: রোনাল্ডো দে আসিস মোইরেইরা সময়কাল: ১৯৯৯-২০১৩ রোনালদিনিয়ো তার অসাধারণ ড্রিবলিং, পাসিং এবং ফ্রি-কিকের জন্য বিখ্যাত। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। তার খেলার মধ্যে সবসময় ছিল আনন্দ এবং উদ্ভাবনীতা, যা তাকে ভক্তদের প্রিয় করে তুলেছিল। ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে তিনি ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। এই পাঁচজন ফুটবলার ব্রাজিল ফুটবলকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এবং তাদের খেলার নান্দনিকতা ও সাফল্য আজও ফুটবলপ্রেমীদের মনে অমর হয়ে রয়েছে। এইভাবে, ব্রাজিল ফুটবল দলের বর্তমান অবস্থা এবং একাদশের খেলোয়াড়দের নিয়ে ২০২৪ সালকে তারা তাদের জন্য এক নতুন সফলতার বছর হিসেবে তৈরি করতে আগ্রহী। ২৮ নভেম্বর ২০২৪ অনুযায়ী শীর্ষ ৫ র‍্যাঙ্কিং – Top 5 rankings as of 28 November 2024 র‍্যাংক দল ২ ফ্রান্স ৩ স্পেন ৪ ইংল্যান্ড ৫ ব্রাজিল আরও পড়ুন : ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ : মাসকট, ভেন্যু এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Read More
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬: মাসকট, ভেন্যু এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ : মাসকট, ভেন্যু এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ এবং ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাস: অতীতের বিজয়ী, রানার্স-আপ এবং অন্যান্য তথ্য ফিফা বিশ্বকাপ হল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়, তবে ১৯৪২ এবং ১৯৪৬ সালে এটি অনুষ্ঠিত হয়নি। মূল জুলেস রিমে ট্রফি ১৯৮৩ সালে চুরি হয়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত তা উদ্ধার করা হয়নি। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর, ফিফা বিশ্বকাপ (FIFA World Cup), যা প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়, ফুটবলপ্রেমীদের জন্য একটি বড় উৎসব। প্রতিটি বিশ্বকাপেই নানা ধরনের উত্তেজনা, প্রতিযোগিতা এবং শো-ডাউন হয়ে থাকে। এ লেখায় ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ সম্পর্কিত সব তথ্য, যেমন কোথায় হবে, বাছাই পর্বের সময়সূচি, মাসকট, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ফিফা বিশ্বকাপ কি? ফিফা বিশ্বকাপ হল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, যা ফিফা (FIFA) দ্বারা আয়োজিত হয়। এটি পুরুষ ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা এবং প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাস ১৯৩০ সালে শুরু হলেও, এর গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্বকাপ মাসকট কি? বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরের একটি নিজস্ব মাসকট থাকে, যা সেই বছরের বিশ্বকাপের প্রতীক হয়ে থাকে। মাসকট সাধারণত একটি প্রাণী বা চরিত্রের আকারে হয়, এবং এটি বিশ্বকাপের উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইভেন্টে উপস্থিত থাকে। ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ-এর মাসকট সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এটি কিছু মাস আগে ঘোষণা করা হবে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনটি দেশের সম্মিলিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে। এই তিনটি দেশ হল: যুক্তরাষ্ট্র (USA) কানাডা (Canada) মেক্সিকো (Mexico) এই তিন দেশের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, এবং এটি হবে বিশ্বের প্রথম বিশ্বকাপ যা ৩টি দেশে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে ২৪টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম বিশ্বকাপ। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ সময়সূচি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ – এর বাছাই পর্ব শুরু হবে বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতি অঞ্চলের দেশগুলো তাদের স্থান পাকা করার জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। এই বাছাই পর্বের সময়সূচি এবং নিয়মের কিছু বিশদ: এশিয়া (AFC): এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্ব শুরু হবে ২০২৪ সালের মধ্যে, যেখানে এশিয়ান দেশগুলোকে প্রথম পর্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে খেলা হবে। ইউরোপ (UEFA): ইউরোপে বাছাই পর্ব ২০২৪ সালের মধ্যে শুরু হবে এবং এতে ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের স্থান নির্ধারণ করবে। দক্ষিণ আমেরিকা (CONMEBOL): দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বও ২০২৪ সালের মধ্যে শুরু হবে। উত্তর ও মধ্য আমেরিকা (CONCACAF): ২০২৪ সালেই শুরু হবে, এবং এখানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো সহ অন্যান্য দেশগুলো অংশ নিবে। আফ্রিকা (CAF) এবং ওশেনিয়া (OFC)-এর বাছাই পর্বও একই সময়ে শুরু হবে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাইপর্ব তালিকা ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে প্রতি অঞ্চলের দলগুলোকে নির্দিষ্ট পর্বে খেলতে হবে। এই বাছাই পর্বে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী দলগুলি ফাইনালে উঠে আসবে। যেমন: এশিয়া থেকে ৪.৫টি দল ইউরোপ থেকে ১৩টি দল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৪.৫টি দল উত্তর ও মধ্য আমেরিকা থেকে ৩.৫টি দল আফ্রিকা থেকে ৫টি দল ওশেনিয়া থেকে ০.৫টি দল এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের দলগুলি প্লে-অফে অংশ নিতে পারে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ কয়টি দেশে অনুষ্ঠিত হবে? ফিফা বিশ্বকাপ ( FIFA WORLD CUP) ২০২৬ হবে তিনটি দেশে: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এবং মেক্সিকো। এর ফলে, ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে বিশ্বের প্রথম ত্রিদেশীয় বিশ্বকাপ, এবং এটি ফুটবল ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে। এখানে ১৯৩০-২০২২  ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ীদের তালিকা: ২০২২: বর্তমান ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদান করা হয়। ২০১৮: ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে ৪–২ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ২০১৪: জার্মানি আর্জেন্টিনাকে ১–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ২০১০: স্পেন নেদারল্যান্ডসকে ১–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ২০০৬: ইতালি ফ্রান্সকে ১–১ ড্র পরেও পেনাল্টিতে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ২০০২: ব্রাজিল জার্মানিকে ২–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৯৮: ফ্রান্স ব্রাজিলকে ৩–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৯৪: ব্রাজিল ইতালিকে ৩–২ পেনাল্টিতে হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৯০: জার্মানি আর্জেন্টিনাকে ১–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৮৬: আর্জেন্টিনা জার্মানিকে ৩–২ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৮২: ইতালি জার্মানিকে ৩–১ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৭৮: আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডসকে ৩–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৭৪: জার্মানি নেদারল্যান্ডসকে ২–১ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৭০: ব্রাজিল ইতালিকে ৪–১ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৬৬: ইংল্যান্ড জার্মানিকে ৪–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৬২: ব্রাজিল চেকোস্লোভাকিয়াকে ৩–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৫৮: ব্রাজিল সুইডেনকে ৫–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৫৪: জার্মানি হাঙ্গেরিকে ৩–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৫০: উরুগুয়ে ব্রাজিলকে ২–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৩৮: ইতালি হাঙ্গেরিকে ৪–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৩৪: ইতালি চেকোস্লোভাকিয়াকে ২–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৩০: উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪–২ হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে। ফিফার সভাপতিদের তালিকা: ফিফা (FIFA) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০৪ সালে, এবং এর ইতিহাসে একাধিক সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে ফিফার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের তালিকা দেওয়া হল: রবার্ট গুয়েরিন (Robert Guérin) দায়িত্বকাল: ১৯০৪–১৯০৬ দেশ: ফ্রান্স ফিফার প্রথম সভাপতি, যিনি ফিফার শুরুর দিকের সাংগঠনিক ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ড্যানিয়েল বার্লি উলফল (Daniel Burley Woolfall) দায়িত্বকাল: ১৯০৬–১৯১৮ দেশ: ইংল্যান্ড ফিফার দ্বিতীয় সভাপতি, যিনি ফিফার নিয়ম-কানুনকে আধুনিকায়িত করার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন। জুলেস রিমে (Jules Rimet) দায়িত্বকাল: ১৯২১–১৯৫৪ দেশ: ফ্রান্স ফিফার দীর্ঘতম সময়ের সভাপতি এবং ফুটবল বিশ্বকাপের প্রবর্তক। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৩০ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়। রুডোলফ সেল্ড্রেয়ার্স (Rodolphe Seeldrayers) দায়িত্বকাল: ১৯৫৪–১৯৫৫ দেশ: বেলজিয়াম ফিফার চতুর্থ সভাপতি, যিনি মাত্র এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। আর্থার ড্রিউরি (Arthur Drewry) দায়িত্বকাল: ১৯৫৫–১৯৬১ দেশ: ইংল্যান্ড তাঁর নেতৃত্বে ফুটবল আরও বৈশ্বিক পরিসরে প্রসার লাভ করে। স্ট্যানলি রউস (Stanley Rous) দায়িত্বকাল: ১৯৬১–১৯৭৪ দেশ: ইংল্যান্ড ফিফার জনপ্রিয় সভাপতি, যিনি ফুটবলের আন্তর্জাতিকীকরণে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ (João Havelange) দায়িত্বকাল: ১৯৭৪–১৯৯৮ দেশ: ব্রাজিল হ্যাভেলাঞ্জের সময়ে ফিফা বাণিজ্যিক দিক থেকে বিশালভাবে প্রসারিত হয় এবং বিশ্বকাপের আয়োজন আরও বড় আকার ধারণ করে। সেপ ব্লাটার (Sepp Blatter) দায়িত্বকাল: ১৯৯৮–২০১৫ দেশ: সুইজারল্যান্ড ব্লাটারের নেতৃত্বে ফুটবল বিশ্বের বৃহত্তম ক্রীড়া ইভেন্টে পরিণত হয়, তবে তাঁর সময়ে ফিফার অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিতর্ক ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইস্যা হায়াতু (Issa Hayatou) দায়িত্বকাল: ২০১৫ (অন্তর্বর্তীকালীন) দেশ: ক্যামেরুন ফিফার অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে কিছু সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। জিয়ান্নি ইনফান্তিনো (Gianni Infantino) দায়িত্বকাল: ২০১৬–বর্তমান দেশ: সুইজারল্যান্ড বর্তমান সভাপতি, যিনি ফিফার নেতৃত্বে নতুন যুগের সূচনা করেছেন। তিনি বিশ্বকাপের দলে বাড়ানোর পরিকল্পনা সহ ফুটবলের বাণিজ্যিক ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। ফিফার এই সভাপতি ব্যক্তিরা ফুটবলকে একটি বৈশ্বিক ক্রীড়া ইভেন্টে রূপান্তরিত করতে বিশাল অবদান রেখেছেন। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক নতুন উদ্দীপনা ও উৎসবের দিন এনে দেবে। তিনটি দেশের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বিশ্বকাপ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে এবং ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হিসেবে ইতিহাসে থাকবে। বাছাই পর্ব শুরু হতে কিছু সময় বাকি, তবে এর উত্তেজনা ইতিমধ্যেই ফুটবল বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সেরা ফুটবল দল নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এর জন্য প্রস্তুত হয়ে যান,…

Read More
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ইউক্রেনের ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ইউক্রেনের ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই যুদ্ধ শুধু দুটি দেশের মধ্যে সংঘাত নয়, বরং এর প্রভাব বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, জ্বালানি বাজার এবং সামরিক কৌশলে গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘাতের কারণ, বর্তমান অবস্থা, এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের মূল শিকড় রয়েছে কয়েক দশকের পুরোনো ইতিহাসে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর এই উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করে। ক্রিমিয়ার দখল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল, এবং এটি ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ হিসেবে দেখা হয়। ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়, এবং তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ২০২২ সালে রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করলে যুদ্ধের পরিস্থিতি আরো জটিল হয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতে, এই আক্রমণের মূল কারণ ছিল ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা, যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছিল। অপরদিকে ইউক্রেন দাবি করে যে তারা শুধু তাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষার চেষ্টা করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইউক্রেনের প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এবং জনগণ সাহসী প্রতিরোধ দেখিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের নেতা হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করেছেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরোধের মূল ভিত্তি হলো পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং অন্যান্য ন্যাটো সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনকে অর্থনৈতিক, সামরিক এবং কূটনৈতিকভাবে সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়াও, ইউক্রেনের প্রতিরোধকে আরও শক্তিশালী করতে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে পাঠানো আধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তি বড় ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে ATACMS মিসাইলের সরবরাহ ইউক্রেনের সামরিক কৌশলকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। ATACMS মিসাইল হল দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, এবং এটি যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের জন্য বড় ধরনের সুবিধা তৈরি করেছে।   রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ATACMS মিসাইল এবং এর প্রভাব ATACMS (Army Tactical Missile System) মিসাইল হলো একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা ৩০০ কিমি পর্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে। ইউক্রেন এই মিসাইল ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রাগার, এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। এই মিসাইল ব্যবহারের ফলে রাশিয়ার সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রুশ বাহিনীর অভিযান ধীর গতিতে চলছে। ATACMS মিসাইলের প্রয়োগ রাশিয়ার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে, কারণ এটি রাশিয়ার কৌশলগত স্থানগুলোতে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে। ফলে রাশিয়ার আক্রমণাত্মক অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাশিয়ার সামরিক অবস্থান রাশিয়া শুরু থেকেই ইউক্রেনের ওপর ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। শুরুতে মস্কো আশা করেছিল যে, ইউক্রেন দ্রুত আত্মসমর্পণ করবে এবং রাশিয়া কিয়েভে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন এই পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বর্তমানে, রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা, সরবরাহের অভাব এবং মনোবলের ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বিশেষভাবে রাশিয়ার দুর্বলতাগুলোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, রাশিয়া এখনো তাদের সামরিক শক্তি ধরে রেখেছে এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ক্রমাগতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে, যা ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনছে।    ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং রুশ কৌশল রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে শুরু করে খারকিভ, মিকোলাইভসহ অনেক শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এই হামলাগুলো ইউক্রেনের অবকাঠামোগত ক্ষতি করেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। রুশ কৌশল হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যবহার করা হচ্ছে ইউক্রেনকে দুর্বল করার জন্য। রাশিয়া আশা করছে যে, এই হামলার ফলে ইউক্রেনের অর্থনীতি এবং সামরিক শক্তি ভেঙে পড়বে এবং ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে। তবে, ইউক্রেনের জনগণ ও সামরিক বাহিনী এই হামলার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করে চলেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এবং নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার অর্থনীতি এবং তাদের বৈশ্বিক বাণিজ্যের ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। রাশিয়া তেল এবং গ্যাস রপ্তানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, এবং এই খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তাদের আয় ব্যাপকভাবে কমেছে। এছাড়া, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক এবং ব্যক্তির ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থাকে দুর্বল করেছে। যুদ্ধের মানবিক সংকট রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুধু সামরিক নয়, বরং এক বিশাল মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ইউক্রেন থেকে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধের কারণে বহু মানুষ মারা গেছে এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা প্রদান করছে, তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এই সহায়তা অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খাদ্য, ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে ইউক্রেনের অনেক অঞ্চলে মানবিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের অবসান এখনো অনিশ্চিত। উভয় পক্ষই কঠোর অবস্থানে রয়েছে, এবং শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। যদিও কিছু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে, কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে চলমান সংঘর্ষের কারণে শান্তি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি  হতে পারে এবং এর সমাধান অতি দ্রুত হবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। অন্যদিকে, ইউক্রেনও তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে উল্লেখযোগ্য ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে। কিন্তু এই যুদ্ধের পরে দেশটির পুনর্গঠন এবং পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া কীভাবে হবে তা গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমা দেশগুলো ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের পুনর্গঠনে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, যুদ্ধের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে। উপসংহার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ একটি গভীর এবং জটিল সংঘাত, যার প্রভাব বিশ্বব্যাপী অনুভূত হচ্ছে। এই যুদ্ধ শুধু দুটি দেশের মধ্যে সামরিক লড়াই নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি এবং কৌশলের ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধের শেষ কোথায় এবং কীভাবে হবে তা এখনও অনিশ্চিত Read : ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী

Read More
এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা ২৯ বছরের বিবাহিত জীবন শেষে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন।

এ আর রহমান – সায়রা : ২৯ বছরের বিবাহিত জীবন শেষে বিচ্ছেদ

অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা, প্রায় ৩০ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের পর, আজ তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে যৌথভাবে ঘোষণা করেছেন যে তারা “বিচ্ছিন্ন হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত” নিয়েছেন। “দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের পর, মিসেস সায়রা এবং জনাব এ আর রহমান একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,” আইনজীবী বন্দনা শাহ এবং তার অ্যাসোসিয়েটসের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। আইনজীবীর মতে, “এই সিদ্ধান্তটি তাদের সম্পর্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক চাপের পর এসেছে।” আইনজীবী আরও জানান, এই সিদ্ধান্তটি “তাদের সম্পর্কের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলা মানসিক চাপের ফলাফল”। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তাদের পরস্পরের প্রতি গভীর ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও, দাম্পত্যের টানাপোড়েন এবং সমস্যাগুলো তাদের মধ্যে এমন এক দুর্লঙ্ঘ্য ব্যবধান তৈরি করেছে, যা এই মুহূর্তে কোনো পক্ষই মিটমাট করতে সক্ষম বোধ করছেন না।” এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই সিদ্ধান্তটি যন্ত্রণা এবং বেদনার ফল।” “মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী এ আর রহমান এই কঠিন সময়ে জনগণের কাছে তাদের গোপনীয়তা এবং সমর্থনের জন্য আবেদন করছেন, কারণ তারা তাদের জীবনের এই কঠিন অধ্যায় পার করছেন,” বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়েছে। সংগীতশিল্পী রহমান আক্ষেপ করে বলেন, তারা “মহান ত্রিশ বছর” পূর্ণ করতে পারেননি, তবে এই ভাঙনের মধ্যেও অর্থ খুঁজে পাওয়ার আশা রাখেন। রহমান X-এ পোস্ট করেন, “আমরা আশা করেছিলাম সেই মহৎ ত্রিশ বছরের মাইলফলক ছুঁতে, কিন্তু মনে হচ্ছে সবকিছুরই অদৃশ্য একটি শেষ থাকে। এমনকি ভাঙা হৃদয়ের ভারে সৃষ্টিকর্তার সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। তবুও, এই ভাঙনের মধ্যে আমরা অর্থ খুঁজছি, যদিও এর টুকরোগুলো আর কখনো একত্রে জোড়া লাগবে না। আমাদের বন্ধুদের প্রতি, এই দুর্বল অধ্যায়ে আমাদের গোপনীয়তা সম্মান জানানোর জন্য ধন্যবাদ এবং আপনার সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞ।” এই দম্পতি ১৯৯৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তারা তিন সন্তানের বাবা-মা: খাতিজা, রাহিমা এবং আমিন। তাদের ছেলে আমিন তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “আমরা সবাইকে এই সময়ে আমাদের গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ করছি। আপনার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।” এ আর রহমান, যিনি ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ চলচ্চিত্রের জন্য অস্কার জিতেছিলেন, তাকে একসময় টাইম ম্যাগাজিন “মাদ্রাজের মোৎসার্ট” হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। সংগীতশিল্পী রহমান পাঁচ বছর বয়সে সংগীত চর্চা শুরু করেন এবং তার প্রথম বড় সুযোগ আসে ১৯৯২ সালে ‘রোজা’ ছবির মাধ্যমে। ছবিটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে, এবং তার সাউন্ডট্র্যাক তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে সম্মান এনে দেয়। ২০১২ সালে ‘রেন্ডেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’ অনুষ্ঠানে, সিমি গারেওয়াল রহমানকে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি কেন একটি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ বেছে নিলেন?” রহমান হাসতে হাসতে বলেন, “আসলে আমার সময় ছিল না বউ খুঁজে বের করার।” তার উত্তরে সঞ্চালকও হাসিতে ফেটে পড়েন। রহমান বলেন, “আমি তখন ‘রঙ্গীলা’, ‘বোম্বে’ এবং অন্যান্য ছবিগুলোর কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু আমি জানতাম এটা বিয়ের সঠিক সময়। আমার বয়স ছিল ২৯। আমি মাকে বললাম, আমাকে একটা মেয়ে খুঁজে দাও।” সিমি গারেওয়াল প্রশ্ন করেন, “আপনার কি কোনো বিশেষ চাহিদা ছিল?” রহমান উত্তর দেন, “আমি একটি সাধারণ স্ত্রী চেয়েছিলাম, যে আমাকে বেশি ঝামেলায় ফেলবে না, যাতে আমি আমার সংগীত নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারি।” মিস গারেওয়াল তখন রহমানকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি তার মাকে বলেছিলেন, তার স্ত্রী যেন “কিছু শিক্ষিত, কিছু সুন্দর এবং অনেক নম্র” হয়। রহমান হাসলেন এবং মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন। কীভাবে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে রহমান জানান, তার মা সুফি দরগার কাছে সায়রার বোনের সঙ্গে পরিচিত হন। এক ঘটনার পর আরেকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।   উপসংহার : এ আর রহমান তার সুরের অনন্যতা ও বৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। তিনি হলিউড ও বলিউডসহ বিভিন্ন ভাষার সিনেমায় অসাধারণ সুর দিয়েছেন। ‘রোজা’, ‘দিল সেতে’, ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ এর মতো চলচ্চিত্রে কাজ করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তার অসাধারণ সংগীত প্রতিভা তাকে অস্কার, গ্র্যামি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার এনে দিয়েছে, যা তাকে সংগীত জগতে এক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। সায়রা বানু কেন আর রহমানকে বিয়ে করেছিলেন  সায়রা বানু এ আর রহমানকে বিয়ে করেছিলেন তার ব্যক্তিত্ব, জীবনদর্শন, এবং সঙ্গীতের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে। রহমান একজন নম্র ও ধার্মিক ব্যক্তি, যার জীবনে সৃজনশীলতা ও আধ্যাত্মিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, রহমানের মা তাদের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসার পর, সায়রা এবং তার পরিবার সেই সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন, যা তাদের বিবাহের দিকে অগ্রসর করে।        

Read More
ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী

ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী (আয়াতুল্লাহ সায়্যিদ আলী হুসাইনী খামেনেয়ী) ইরানের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর ভূমিকা ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তার নেতৃত্ব দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা  আয়াতুল্লাহ আলী  খামেনেয়ীর প্রাথমিক জীবন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী ১৯৩৯ সালের ১৭ জুলাই মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ছিল ধার্মিক এবং ধর্মীয় শিক্ষা পদ্ধতিতে গড়ে ওঠা। খামেনেয়ী শৈশব থেকেই ইসলামিক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে কুম ও নাজাফের বিখ্যাত মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করেন। তিনি ইসলামের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেন এবং শিয়া ইসলামের পণ্ডিত হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। খামেনি শব্দের অর্থ কি “খামেনি” শব্দটি আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ীর পারিবারিক উপাধি, যা ইরানের খোরাসান অঞ্চলের খামেন নামক স্থান থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এটি ঐতিহ্যগতভাবে স্থান বা বংশ নির্দেশ করে। ইসলামী বিপ্লব ও আয়াতুল্লাহ আলী  খামেনেয়ীর উত্থান ১৯৭৯ সালের ইরানের ইসলামী বিপ্লব আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইরানকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এই বিপ্লবে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বিপ্লবের পর তিনি ইরানের নতুন গঠিত ইসলামিক সরকারে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন, যার মধ্যে রয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন। ১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির মৃত্যুর পর, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ নেতা পদটি ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী পদ, যা দেশটির রাজনীতি, ধর্মীয় নীতিমালা, বিচার বিভাগ এবং সামরিক বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। খামেনেয়ী তার দক্ষতায় এই ভূমিকা অত্যন্ত সফলভাবে পালন করে আসছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কিভাবে নির্বাচিত হয় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হন বিশেষজ্ঞ পরিষদের (Assembly of Experts) মাধ্যমে। এই পরিষদটি ৮৮ জন ইসলামিক পণ্ডিত নিয়ে গঠিত, যারা জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা ধর্মীয় জ্ঞান, নৈতিকতা ও নেতৃত্বের গুণাবলির ভিত্তিতে একজন প্রার্থীকে বেছে নেন। ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা কে ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা হলেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে এই দায়িত্ব পালন করছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর নেতৃত্বে ইরান বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। তার সবচেয়ে বড় প্রভাব ইরানের পররাষ্ট্র নীতিতে দেখা যায়। ইরানের যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশের সাথে দ্বন্দ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারে খামেনেয়ীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যন্তরীণ প্রভাব ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়েও খামেনেয়ীর বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। তিনি দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নীতিমালার উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখেন। ইরানের বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তার নির্দেশনা অনুসরণ করে চলে। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ইরানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনগুলো কঠোরভাবে দমন করেছেন। পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জোরালো সমর্থক এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশের সঙ্গে ইরানের দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তার নেতৃত্বে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান জোরদার করেছে, বিশেষত সিরিয়া, ইরাক এবং লেবাননের মতো দেশে। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর আদর্শ ও ইসলামিক দর্শন আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী শিয়া ইসলামের আদর্শ অনুসরণ করেন এবং ইসলামিক বিপ্লবের আদর্শকে সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা করেন। তিনি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থায় ইসলামের আদর্শিক ভূমিকার পক্ষে। ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ইসলামের কেন্দ্রীয়তা নিশ্চিত করা এবং ইসলামী নীতিমালা অনুসরণে তিনি অটল। সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জ যদিও আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর নেতৃত্বে ইরান সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে, তবুও তাকে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকস্বাধীনতা হরণ, এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর দমনপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে। এছাড়াও ইরানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলোর ফলে দেশটির জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপসংহার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী ইরানের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা, যিনি তার দেশের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রায় চার দশক ধরে। তার নেতৃত্বে ইরান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছে। যদিও তিনি বিতর্কিত, তার প্রভাব ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্বীকার করা যায় না। এই দীর্ঘ সময়কালের মধ্যে, খামেনেয়ী ইরানের সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং ধর্মীয় আদর্শে অবিস্মরণীয় প্রভাব ফেলেছেন, যা ভবিষ্যতেও ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। আরো পড়তে নিচের লিংকে প্রবেশ করুন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: জীবনী ও বিতর্ক

Read More
নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং

নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং : আধুনিক শহরে কৃষির বিপ্লব

নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং : শহরের ভিতরে সবুজ বিপ্লব নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং হচ্ছে শহরের ভিতর টাটকা সবজি ও ফল উৎপাদনের কৌশল। সহজ উপায়ে ঘরের ছাদ, বারান্দা বা বাগানে করুন পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ। নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং আজকের দিনে এক যুগান্তকারী ধারণা হিসেবে সামনে এসেছে। আধুনিক নগর জীবনে আমরা সব সময় সতেজ ও টাটকা ফল, সবজি চেয়েও পেয়ে উঠি না। আরবানে জায়গার অভাব, দূষণ, এবং অর্থনৈতিক চাপের কারণে অনেকেই স্বপ্ন দেখেন নিজের খাদ্যের উৎস নিজের হাতে গড়ার। নগর কৃষি এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার একটি শক্তিশালী উপায়। নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং কেন গুরুত্বপূর্ণ? আমাদের শহুরে জীবনের ব্যস্ততা এবং পরিবেশগত সংকট আজকের দিনে নগর কৃষিকে আরো প্রয়োজনীয় করে তুলেছে। পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা: নগর কৃষি পরিবেশবান্ধব। এর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়। গাছপালা অক্সিজেন সরবরাহ করে, বায়ুদূষণ কমায় এবং শহরের গরম কমায়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের উৎস: নিজের হাতে ফসল ফলানোর মাধ্যমে টাটকা, পুষ্টিকর খাদ্য পাওয়া যায় যা বাজার থেকে কেনা পণ্য থেকে বেশি স্বাস্থ্যকর। অর্থনৈতিক সাশ্রয়: নগর কৃষির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন খরচ অনেকটাই কমে যায়। নিজের বাড়িতে ফসল ফলানোর ফলে বাজারের উপর নির্ভরতা কমে। নগর কৃষির ধরন শহরের পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের নগর কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো: ছাদ বাগান (Rooftop Gardening): শহরের ফ্ল্যাট বা বাড়ির ছাদে গড়ে তোলা যায় সবুজ বাগান। এখানে মাটি বা হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে চাষ                   করা যায়। টমেটো, শাকসবজি, ফুল, বা ছোট গাছের চাষ করা সহজ। 2. ভার্টিকাল ফার্মিং (Vertical Farming): এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে অল্প জায়গায় বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব। বিশেষভাবে ডিজাইন করা স্তরে             বা        দেয়ালের উপর গাছপালা লাগানো হয়। এটি ছোট ফ্ল্যাট বা বারান্দায় কার্যকর।      3. হাইড্রোপনিক্স (Hydroponics): এই পদ্ধতিতে মাটির বদলে পানির মাধ্যমে গাছের শিকড় সরাসরি পুষ্টি গ্রহণ করে। এটি আধুনিক নগর কৃষিতে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। কম জায়গায় ফলন বেশি হয় এবং এটি সহজেই ঘরের ভিতরে ব্যবহার করা যায়। 4. কনটেইনার গার্ডেনিং (Container Gardening): এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন পাত্র বা কনটেইনারে গাছ লাগানো হয়। এটি ছাদ, বারান্দা বা এমনকি জানালার কাছে রাখা     যায়। এতে মাটি বা কৃত্রিম মিশ্রণ ব্যবহার করে নানা ধরনের সবজি ফলানো যায়। নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং সুবিধা নগর কৃষি শুধুমাত্র খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়, এটি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবেশের উন্নয়ন: শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে গাছপালা আমাদের জীবনকে সুন্দর ও প্রাণবন্ত করে তোলে। ছাদ বাগান বা বারান্দায় গাছ লাগানো শহরের তাপমাত্রা কমায় এবং বায়ু দূষণ রোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। মানসিক প্রশান্তি: নিজের হাতে গাছ লাগানো এবং যত্ন নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মানসিক চাপ কমায়, অবসাদ দূর করে এবং ব্যক্তিগত তৃপ্তি এনে দেয়। সমাজে সহযোগিতা: নগর কৃষি একটি কমিউনিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। একটি এলাকা বা ভবনের বাসিন্দারা একত্রে কাজ করলে তারা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে পারে। নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং চ্যালেঞ্জ নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা মোকাবেলা করা প্রয়োজন। – জমির অভাব: শহরের মধ্যে জায়গার অভাব সবসময় একটি বড় সমস্যা। তবে ভার্টিকাল ফার্মিং বা কনটেইনার গার্ডেনিং এর মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। – প্রযুক্তির ব্যবহার: হাইড্রোপনিক্স বা ভার্টিকাল ফার্মিং এর মত আধুনিক পদ্ধতিগুলো কিছুটা প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় যা সবার জন্য সহজলভ্য নয়। – পর্যাপ্ত সূর্যালোক: শহরের ভিতরে ভবনগুলোর মধ্যে সূর্যালোক কম পৌঁছায়, যা ফসলের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যার জন্য কৃত্রিম আলো বা হালকা সহায়ক সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে। নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং  কিভাবে শুরু করবেন নগর কৃষি বা আরবান ফার্মিং শুরু করা সহজ এবং উপভোগ্য হতে পারে। নিচে কিছু ধাপ উল্লেখ করা হলো: জায়গা নির্বাচন করুন: আপনার বাড়ির ছাদ, বারান্দা বা জানালার পাশে একটি জায়গা বেছে নিন যেখানে পর্যাপ্ত আলো পৌঁছায়। সঠিক ফসল বেছে নিন: ছোট সবজি যেমন টমেটো, শসা, ধনিয়া, পুদিনা ইত্যাদি চাষে শুরু করুন। পাত্র বা কনটেইনার নির্বাচন করুন: কনটেইনার হিসেবে মাটি, পাত্র বা এমনকি পুরোনো বোতল ব্যবহার করতে পারেন। পুষ্টিকর মাটি বা হাইড্রোপনিক্স সিস্টেম ব্যবহার করুন: সঠিক পুষ্টির জন্য ভালো মানের মাটি বা হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতির পুষ্টি উপাদান ব্যবহার করুন। যত্ন নিন: নিয়মিত পানি, সার, ও প্রয়োজনীয় রোদ প্রদান করুন। গাছের পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে রাখুন। উপসংহার নগর কৃষি শুধুমাত্র একটি শখ নয়, এটি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে। শহুরে জীবনের চাপ, দূষণ এবং খাদ্য নিরাপত্তার সংকটে নগর কৃষি হতে পারে এক দারুণ সমাধান। এটি পরিবেশকে সবুজ করার পাশাপাশি, আমাদের খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। আজই নগর কৃষির দিকে এগিয়ে আসুন এবং আপনার জীবনকে সবুজ এবং সমৃদ্ধ করুন! আরো পড়ুন : পরাগায়ন কি এবং কৃষির গুরুত্ব

Read More