ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল এবং বর্তমান ব্রাজিল একাদশ ২০২৪

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল এবং বর্তমান ব্রাজিল একাদশ ২০২৪

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ২০২৪ , যাকে বিশ্ব ফুটবলে একটি কিংবদন্তি হিসেবে ধরা হয়, তাদের ইতিহাসে অসাধারণ সফলতা ও তারকাখ্যাতি অর্জন করেছে। পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী এই দলটি ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে এক আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সফল দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল খেলার আক্রমণাত্মক ও নান্দনিক স্টাইল ফুটবলপ্রেমীদের কাছে দলটিকে অসাধারণ প্রিয় করে তুলেছে। ২০২৪ সালে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলটি এখনো তাদের গৌরবময় ইতিহাস ও ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত বর্তমান একাদশটি অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে তৈরি। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ২০২৪ এবং  সাম্প্রতিক সাফল্য ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলটি সবসময়ই দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল প্রতিযোগিতায় যেমন কোপা আমেরিকা এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় সফলতা লাভ করেছে। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় তারা ফাইনালে উঠেছিল, যদিও আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হয়েছিল। ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও তারা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল। ২০২৪ সালে তারা আবারও নতুন করে বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ব্রাজিল জাতীয় একাদশ ২০২৪ ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ২০২৪ সালে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের একাদশে কিছু তরুণ প্রতিভা ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মিশ্রণ দেখা যায়। বর্তমান কোচ ফার্নান্দো দিনিজ দলের নেতৃত্বে আছেন, এবং তার অধীনে ব্রাজিল দলের আক্রমণাত্মক খেলার ধারা বজায় রয়েছে। চলুন দেখি, ২০২৪ সালের সম্ভাব্য ব্রাজিল একাদশ: ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের ২০২৪ গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল) – অ্যালিসন ব্রাজিলের প্রধান গোলরক্ষক এবং তার অসাধারণ রিফ্লেক্স ও গেম রিডিংয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি ব্রাজিলের ডিফেন্সের প্রধান ভরসা। ডিফেন্ডার: মারকুইনহোস (প্যারিস সেন্ট-জার্মেই) – দলের প্রধান ডিফেন্ডার হিসেবে মারকুইনহোসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ) – তার শক্তিশালী শারীরিক ক্ষমতা ও ডিফেন্সিভ স্কিলের জন্য তিনি দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য। ড্যানিলো (জুভেন্টাস) – অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার রাইট ব্যাক পজিশনে খেলেন এবং তার ফুটবল আইকিউ অসাধারণ। গ্যাব্রিয়েল মাগালহাইস (আর্সেনাল) – তিনি দলকে বাড়তি ডিফেন্সিভ স্থিতি প্রদান করেন। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের ২০২৪ মিডফিল্ডার: কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) – ব্রাজিল দলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে কাসেমিরো অনন্য। তার অভিজ্ঞতা ও ফর্মেশনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। ব্রুনো গিমারায়েস (নিউক্যাসল ইউনাইটেড) – তিনি আধুনিক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় অসাধারণ। তার পাসিং ও বল কন্ট্রোল দুর্দান্ত। লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড) – ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার হিসেবে পাকেতার ভূমিকা দলকে আক্রমণে বাড়তি শক্তি দেয়। ফরোয়ার্ড: নেইমার জুনিয়র (আল-হিলাল) – নেইমার দলের সবচেয়ে বড় তারকা এবং আক্রমণের প্রধান শক্তি। তার স্কিল, ড্রিবলিং, এবং গোল করার ক্ষমতা ব্রাজিলকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ) – ভিনিসিয়াস এখন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। তার গতিশীল খেলা এবং গোল করার দক্ষতা তাকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম হটস্পার) – ব্রাজিলের স্ট্রাইকার হিসেবে রিচার্লিসনের ফিনিশিং স্কিল দলকে বড় সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। ব্রাজিল জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ব্রাজিল দলটি ২০২৪ সালে একটি তরুণ ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তরুণ প্রতিভা যেমন রদ্রিগো, আন্তোনি, এবং জোয়াও পেদ্রো দলটিতে ভবিষ্যতের নতুন তারকা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কোচের নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল দ্বারা দলটি একটি সুসংবদ্ধ ইউনিট হিসেবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন যে ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা এবং ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল আবারও বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষে থাকবে। দক্ষ ফুটবল ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের উত্তরাধিকার বহন করে, ব্রাজিল জাতীয় দল আগামী বছরগুলোতেও নতুন ইতিহাস গড়ার জন্য প্রস্তুত। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবলের সেরা ৫টি বিখ্যাত তারকা ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ইতিহাসের পাতায় তাদের সেরা খেলোয়াড়দের মাধ্যমে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী এই দলটি বিশ্ব ফুটবলে যে কিংবদন্তি তারকাদের উপহার দিয়েছে, তাদের মধ্যে বিখ্যাত পাঁচজন  ফুটবলার ১. পেলে (Pelé) পুরো নাম: এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো সময়কাল: ১৯৫৭-১৯৭১ পেলে হলেন ফুটবলের জগতে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার, যিনি তিনটি বিশ্বকাপ (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০) জিতেছেন। তার অসাধারণ গোল করার ক্ষমতা এবং খেলার ধারা তাকে ফুটবলের মহাকাব্যে স্থায়ী আসন দিয়েছে। পেলে তার ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছেন। তার নাম ফুটবল ইতিহাসের সাথে চিরকাল জড়িয়ে থাকবে। ২. গ্যারিঞ্চা (Garrincha) পুরো নাম: মানুয়েল ফ্রান্সিসকো দোস সান্তোস সময়কাল: ১৯৫৫-১৯৬৬ গ্যারিঞ্চা ছিলেন একজন দুর্দান্ত উইঙ্গার, যার ড্রিবলিং দক্ষতা এবং প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার ক্ষমতা অতুলনীয় ছিল। তিনি ১৯৫৮ এবং ১৯৬২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার খেলা দর্শকদের মুগ্ধ করত, এবং তাকে বলা হয় “ফুটবলের আনন্দ”। ৩. জিকো (Zico) পুরো নাম: আর্থুর আন্তুনিস কোইম্ব্রা সময়কাল: ১৯৭৬-১৯৮৬ জিকো, যিনি “হোয়াইট পেলে” নামে পরিচিত, ছিলেন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তার সৃজনশীল খেলা, ফ্রি-কিক এবং গোল করার অসাধারণ ক্ষমতা তাকে কিংবদন্তি করে তুলেছে। যদিও জিকো বিশ্বকাপ জিততে পারেননি, তবুও তিনি ব্রাজিলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃত। ৪. রোনালদো (Ronaldo) পুরো নাম: রোনালদো লুইস নাজারিও দা লিমা সময়কাল: ১৯৯৪-২০১১ রোনালদো, যিনি “ফেনোমেনো” নামে পরিচিত, তার সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে রোনালদো ৮টি গোল করে ব্রাজিলকে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। তিনি ব্রাজিলের হয়ে ৯৮ ম্যাচে ৬২টি গোল করেছেন এবং দুইবার ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছেন। ৫. রোনালদিনিয়ো (Ronaldinho) পুরো নাম: রোনাল্ডো দে আসিস মোইরেইরা সময়কাল: ১৯৯৯-২০১৩ রোনালদিনিয়ো তার অসাধারণ ড্রিবলিং, পাসিং এবং ফ্রি-কিকের জন্য বিখ্যাত। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। তার খেলার মধ্যে সবসময় ছিল আনন্দ এবং উদ্ভাবনীতা, যা তাকে ভক্তদের প্রিয় করে তুলেছিল। ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে তিনি ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। এই পাঁচজন ফুটবলার ব্রাজিল ফুটবলকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এবং তাদের খেলার নান্দনিকতা ও সাফল্য আজও ফুটবলপ্রেমীদের মনে অমর হয়ে রয়েছে। এইভাবে, ব্রাজিল ফুটবল দলের বর্তমান অবস্থা এবং একাদশের খেলোয়াড়দের নিয়ে ২০২৪ সালকে তারা তাদের জন্য এক নতুন সফলতার বছর হিসেবে তৈরি করতে আগ্রহী। ২৮ নভেম্বর ২০২৪ অনুযায়ী শীর্ষ ৫ র‍্যাঙ্কিং – Top 5 rankings as of 28 November 2024 র‍্যাংক দল ২ ফ্রান্স ৩ স্পেন ৪ ইংল্যান্ড ৫ ব্রাজিল আরও পড়ুন : ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ : মাসকট, ভেন্যু এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Read More
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬: মাসকট, ভেন্যু এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ : মাসকট, ভেন্যু এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ এবং ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাস: অতীতের বিজয়ী, রানার্স-আপ এবং অন্যান্য তথ্য ফিফা বিশ্বকাপ হল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়, তবে ১৯৪২ এবং ১৯৪৬ সালে এটি অনুষ্ঠিত হয়নি। মূল জুলেস রিমে ট্রফি ১৯৮৩ সালে চুরি হয়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত তা উদ্ধার করা হয়নি। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর, ফিফা বিশ্বকাপ (FIFA World Cup), যা প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়, ফুটবলপ্রেমীদের জন্য একটি বড় উৎসব। প্রতিটি বিশ্বকাপেই নানা ধরনের উত্তেজনা, প্রতিযোগিতা এবং শো-ডাউন হয়ে থাকে। এ লেখায় ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ সম্পর্কিত সব তথ্য, যেমন কোথায় হবে, বাছাই পর্বের সময়সূচি, মাসকট, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ফিফা বিশ্বকাপ কি? ফিফা বিশ্বকাপ হল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, যা ফিফা (FIFA) দ্বারা আয়োজিত হয়। এটি পুরুষ ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা এবং প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাস ১৯৩০ সালে শুরু হলেও, এর গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্বকাপ মাসকট কি? বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরের একটি নিজস্ব মাসকট থাকে, যা সেই বছরের বিশ্বকাপের প্রতীক হয়ে থাকে। মাসকট সাধারণত একটি প্রাণী বা চরিত্রের আকারে হয়, এবং এটি বিশ্বকাপের উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইভেন্টে উপস্থিত থাকে। ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ-এর মাসকট সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এটি কিছু মাস আগে ঘোষণা করা হবে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনটি দেশের সম্মিলিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে। এই তিনটি দেশ হল: যুক্তরাষ্ট্র (USA) কানাডা (Canada) মেক্সিকো (Mexico) এই তিন দেশের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, এবং এটি হবে বিশ্বের প্রথম বিশ্বকাপ যা ৩টি দেশে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে ২৪টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম বিশ্বকাপ। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ সময়সূচি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ – এর বাছাই পর্ব শুরু হবে বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতি অঞ্চলের দেশগুলো তাদের স্থান পাকা করার জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। এই বাছাই পর্বের সময়সূচি এবং নিয়মের কিছু বিশদ: এশিয়া (AFC): এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্ব শুরু হবে ২০২৪ সালের মধ্যে, যেখানে এশিয়ান দেশগুলোকে প্রথম পর্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে খেলা হবে। ইউরোপ (UEFA): ইউরোপে বাছাই পর্ব ২০২৪ সালের মধ্যে শুরু হবে এবং এতে ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের স্থান নির্ধারণ করবে। দক্ষিণ আমেরিকা (CONMEBOL): দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বও ২০২৪ সালের মধ্যে শুরু হবে। উত্তর ও মধ্য আমেরিকা (CONCACAF): ২০২৪ সালেই শুরু হবে, এবং এখানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো সহ অন্যান্য দেশগুলো অংশ নিবে। আফ্রিকা (CAF) এবং ওশেনিয়া (OFC)-এর বাছাই পর্বও একই সময়ে শুরু হবে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাইপর্ব তালিকা ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে প্রতি অঞ্চলের দলগুলোকে নির্দিষ্ট পর্বে খেলতে হবে। এই বাছাই পর্বে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী দলগুলি ফাইনালে উঠে আসবে। যেমন: এশিয়া থেকে ৪.৫টি দল ইউরোপ থেকে ১৩টি দল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৪.৫টি দল উত্তর ও মধ্য আমেরিকা থেকে ৩.৫টি দল আফ্রিকা থেকে ৫টি দল ওশেনিয়া থেকে ০.৫টি দল এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের দলগুলি প্লে-অফে অংশ নিতে পারে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ কয়টি দেশে অনুষ্ঠিত হবে? ফিফা বিশ্বকাপ ( FIFA WORLD CUP) ২০২৬ হবে তিনটি দেশে: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এবং মেক্সিকো। এর ফলে, ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে বিশ্বের প্রথম ত্রিদেশীয় বিশ্বকাপ, এবং এটি ফুটবল ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে। এখানে ১৯৩০-২০২২  ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ীদের তালিকা: ২০২২: বর্তমান ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদান করা হয়। ২০১৮: ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে ৪–২ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ২০১৪: জার্মানি আর্জেন্টিনাকে ১–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ২০১০: স্পেন নেদারল্যান্ডসকে ১–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ২০০৬: ইতালি ফ্রান্সকে ১–১ ড্র পরেও পেনাল্টিতে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ২০০২: ব্রাজিল জার্মানিকে ২–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৯৮: ফ্রান্স ব্রাজিলকে ৩–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৯৪: ব্রাজিল ইতালিকে ৩–২ পেনাল্টিতে হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৯০: জার্মানি আর্জেন্টিনাকে ১–০ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৮৬: আর্জেন্টিনা জার্মানিকে ৩–২ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৮২: ইতালি জার্মানিকে ৩–১ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৭৮: আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডসকে ৩–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৭৪: জার্মানি নেদারল্যান্ডসকে ২–১ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৭০: ব্রাজিল ইতালিকে ৪–১ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৬৬: ইংল্যান্ড জার্মানিকে ৪–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৬২: ব্রাজিল চেকোস্লোভাকিয়াকে ৩–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৫৮: ব্রাজিল সুইডেনকে ৫–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৫৪: জার্মানি হাঙ্গেরিকে ৩–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৫০: উরুগুয়ে ব্রাজিলকে ২–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৩৮: ইতালি হাঙ্গেরিকে ৪–২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৩৪: ইতালি চেকোস্লোভাকিয়াকে ২–১ হারিয়ে বিজয়ী হয়। ১৯৩০: উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪–২ হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে। ফিফার সভাপতিদের তালিকা: ফিফা (FIFA) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০৪ সালে, এবং এর ইতিহাসে একাধিক সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে ফিফার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের তালিকা দেওয়া হল: রবার্ট গুয়েরিন (Robert Guérin) দায়িত্বকাল: ১৯০৪–১৯০৬ দেশ: ফ্রান্স ফিফার প্রথম সভাপতি, যিনি ফিফার শুরুর দিকের সাংগঠনিক ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ড্যানিয়েল বার্লি উলফল (Daniel Burley Woolfall) দায়িত্বকাল: ১৯০৬–১৯১৮ দেশ: ইংল্যান্ড ফিফার দ্বিতীয় সভাপতি, যিনি ফিফার নিয়ম-কানুনকে আধুনিকায়িত করার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন। জুলেস রিমে (Jules Rimet) দায়িত্বকাল: ১৯২১–১৯৫৪ দেশ: ফ্রান্স ফিফার দীর্ঘতম সময়ের সভাপতি এবং ফুটবল বিশ্বকাপের প্রবর্তক। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৩০ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়। রুডোলফ সেল্ড্রেয়ার্স (Rodolphe Seeldrayers) দায়িত্বকাল: ১৯৫৪–১৯৫৫ দেশ: বেলজিয়াম ফিফার চতুর্থ সভাপতি, যিনি মাত্র এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। আর্থার ড্রিউরি (Arthur Drewry) দায়িত্বকাল: ১৯৫৫–১৯৬১ দেশ: ইংল্যান্ড তাঁর নেতৃত্বে ফুটবল আরও বৈশ্বিক পরিসরে প্রসার লাভ করে। স্ট্যানলি রউস (Stanley Rous) দায়িত্বকাল: ১৯৬১–১৯৭৪ দেশ: ইংল্যান্ড ফিফার জনপ্রিয় সভাপতি, যিনি ফুটবলের আন্তর্জাতিকীকরণে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ (João Havelange) দায়িত্বকাল: ১৯৭৪–১৯৯৮ দেশ: ব্রাজিল হ্যাভেলাঞ্জের সময়ে ফিফা বাণিজ্যিক দিক থেকে বিশালভাবে প্রসারিত হয় এবং বিশ্বকাপের আয়োজন আরও বড় আকার ধারণ করে। সেপ ব্লাটার (Sepp Blatter) দায়িত্বকাল: ১৯৯৮–২০১৫ দেশ: সুইজারল্যান্ড ব্লাটারের নেতৃত্বে ফুটবল বিশ্বের বৃহত্তম ক্রীড়া ইভেন্টে পরিণত হয়, তবে তাঁর সময়ে ফিফার অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিতর্ক ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইস্যা হায়াতু (Issa Hayatou) দায়িত্বকাল: ২০১৫ (অন্তর্বর্তীকালীন) দেশ: ক্যামেরুন ফিফার অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে কিছু সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। জিয়ান্নি ইনফান্তিনো (Gianni Infantino) দায়িত্বকাল: ২০১৬–বর্তমান দেশ: সুইজারল্যান্ড বর্তমান সভাপতি, যিনি ফিফার নেতৃত্বে নতুন যুগের সূচনা করেছেন। তিনি বিশ্বকাপের দলে বাড়ানোর পরিকল্পনা সহ ফুটবলের বাণিজ্যিক ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। ফিফার এই সভাপতি ব্যক্তিরা ফুটবলকে একটি বৈশ্বিক ক্রীড়া ইভেন্টে রূপান্তরিত করতে বিশাল অবদান রেখেছেন। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক নতুন উদ্দীপনা ও উৎসবের দিন এনে দেবে। তিনটি দেশের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বিশ্বকাপ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে এবং ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হিসেবে ইতিহাসে থাকবে। বাছাই পর্ব শুরু হতে কিছু সময় বাকি, তবে এর উত্তেজনা ইতিমধ্যেই ফুটবল বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সেরা ফুটবল দল নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এর জন্য প্রস্তুত হয়ে যান,…

Read More